সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গারগেস বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে ইরানের কোনো ইস্যু নেই। সেইসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গারগেস
গারগেস বলেন, চুক্তিটি ইরান নিয়ে নয়; ইসরায়েল, আমিরাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে। ইসরায়েলিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্যই এই উদ্যোগ। ইরানের বিরুদ্ধে কোনো জোট তৈরি করতে এই কাজ করা হয়নি।
তিনি বলেন, যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে একঘরে ও সংকটে ফেলার কথা বলছেন। কিন্তু আমিরাতের এরকম কোনো উদ্দেশ্য নেই। তিনি আরো বলেন, ইরানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশ জটিল। তাদের নিয়ে আমাদেরও চিন্তা আছে। তবে যত মতবিরোধ আছে তা কূটনৈতিক উপায়েই সমাধান করা সম্ভব।
আল নাহিয়ান, ডোনাল্ড ট্রাম্প (মাঝে) ও নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের চুক্তি প্রসঙ্গে শুক্রবার এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানায়, আরব আমিরাতের এমন সিদ্ধান্ত পুরো মুসলিম সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার সমান। তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার পর সেটিকে আবার আত্মত্যাগ করার মতো কাজ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।
এরপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, আমিরাতের সঙ্গে সকল ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হতে পারে। পাশাপাশি দেশটিতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে গারগেস বলেন, তুর্কি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড করেছে এখানে। কারণ প্রতিবছর সেখানে কয়েক লাখ ইসরায়েলি পর্যটক যায়। ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের ২০০ কোটি ডলারের বাৎসরিক ব্যবসা আছে। এমনকি তুরস্কে একটি দূতাবাসও আছে ইসরায়েলের। তাদের এসব দেখে আমি নিজেকেই প্রশ্ন করি, তারা যা করছে ঠিক করছে তো?
0 Comments