Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Facebook-এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে kyrgyzstan- এ যারা এম. বি. বি. এস পড়তে ইছুক তাদের সাথে প্রতারনার নতুন নাম

Facebook-এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে kyrgyzstan- এ যারা এম. বি. বি. এস পড়তে ইছুক তাদের সাথে প্রতারনার নতুন নাম ”মাশরিকা মিম”।

     FRAUD    

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু অর্থনীতিদের মোটামুটি সমৃদ্ধ। এখানে বেকারের হার দিন দিন বেড়ে চলছে।  যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার হার বাড়ছে। প্রতিবছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এইচএসসি লেভেল পার করছে সেই তুলনায় গ্রাজুয়েশন ভর্তির শিক্ষার্থী সংখ্যা খুবই কম। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে অথবা বিভিন্ন পেশায় নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলছে। বাংলাদেশের যে পরিমাণ সুযোগ রয়েছে গ্রাজুয়েশনের জন্য এর বাইরে বড় অঙ্কের কিছু সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী দেশের বাইরে পাড়ি জমায়।দেশের বাইরের পড়াশোনা করার জন্য তারা বিভিন্ন এজেন্সি অথবা  নিজেদের ব্যক্তিগত চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লিংকআপ তৈরি করে। এরই একটি সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ । যারা মানুষের কষ্ট অর্জিত টাকা খুব সহজে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে উচ্চ শিক্ষার নাম করে।



বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার পরে, পড়াশোনার পাশাপাশি  চুক্তিভিত্তিক টাকা পয়সা ইনকামের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ছাত্র অবস্থায় যদিও তাদের ভালো-মন্দ বিচার-বিশ্লেষণ করার এতটা দক্ষতা না থাকলেও  চাকরির ক্ষেত্রে গিয়ে এমন কিছু কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে যেগুলো অনৈতিক এবং প্রতারণামূলক।  টাকা ইনকামের নেশার কাছে এইসব প্রতারণামূলক কাজ লোক ঠকানো তাদের কাছে তুচ্ছ মনে হয়। এমনই একজন মাসরিকা মিম।

এমবিবিএস পড়ুয়া এই শিক্ষার্থীর বাসা চিটাগাংয়ে। সে কিরগিস্থানে একটি সুনামধন্য  প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করছে আর পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানের  অধীনে পার্ট টাইম চাকরি করছে। তার প্রধান কাজ হল সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দ্বারা  কিরিগিস্থানের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করানো। এমনই এক ভুক্তভোগীর ঘটনা তুলে ধরা হলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভূগী জানান -
আমি ফেসবুকে এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমার ক্যান্ডিডেট কে কিরগিস্থানে মাইগ্রেশন করার জন্য চেষ্টা করছিলাম। এরই মধ্যে আমি মাসরিকা মিম নামের এক মহিলার খোজ পায় । আমি  আমার ছাত্রীকে International University of Kyrgyzstan University School of Medicine কলেজে ভর্তির জন্য সাহায্য করতে বলি। মাসরিকা আমার ছাত্রীর বিস্তারিত কাগজ পত্র দেখে ঔ কলেজের ভর্তি করাতে পারবে বলে সম্মতি হয়। আমি টিউশন ফি  ও অন্যান্য খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খরচের কথা বলে। পরে আমি লিখিত ভাবে দিতে বলি। প্রথম থেকে আমার সনদেহ হলেও প্রযোজনের তাড়নায় উপেক্ষা করি। 
আমি তাকে জানায় আমি আরো দুইটি কেলেজে আবেদন করেছি। তারা জানিয়েছে যদি ভিসা দিতে ব্যার্থ হয় তহলে ভিসার টাকা ফেরত দিবেন। মাশরিকা জানায় যদি সে 3দিনের ভিতর ভিসা দিতে ব্যার্থ হয় তাহলে 100% সব টাকা ফেরত দিবে।

আমাকে ভিসা ফি বাবদ 200 ডলার তার ব্যাংকে দিতে বলে। ভিসা না হলে আমার 100% টাকা ফেরত দিবে  দিবে এই শর্তে আমি তার নিম্ন বর্নিত ব্যাংকে মিরপুরের-14 নং কচুখেত শাখা থেকে তাহার ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান করি। 
Ebl bank
Bank acc- 4037400000326604
Agrabad branch
Ctg

টাকা আমি উক্ত ব্যাংকে জমা প্রদান করি। জমা প্রদানের রশিদ-

টাকা পাওয়ার পর টাকা জমা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে তার মোবাইল ব্যাংকিং এর ‍ Screen Short পাঠাই। 

আমি বলি আপনার অফিসের সিল দিয়ে আমাকে   Receive দেন । তারপর অনেক বলার পর সে আমাকে একটি  Receive পাঠায়।
3 দিনের মধ্যে ভিসা দেওয়ার কথা থাকলেও 7 দিন পার হয় তারপর  ও কোন খোজ খবর পাওয়া যায় না ।এর মধ্যে মাশরিকা আমার সাথে যোগাযগ বন্ধ করে দেয় এবং ইকরা নামর এক মহিলা আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং একটার পর একটা ডেট দিতে থাকে। 

20 নভেম্বর-24 তারিখে আমার অন্য একটি কলেজের ভিসা চলে আসে যার কারনে আমি মাশিরিকাকে মেসেজ দেই আমার অন্য কলেজ থেকে ভিসা এসেছে আমার টাকা যেন ফেরত দেয়। আমাকে ভিসার কপি দেখাইতে বললে আমি আমার ভিসার কপি তাকে পাঠায়।

আমার কাছ থেকে আমার ব্যাংক ডিটেলস চাই । আমি আমার ব্যাংক নাম্বার তাকে পাঠায় । তার পর থেকে শুরু হয় তাল বাহানা । 3 দিনের কথা বলে দিনের পর দিন আমাকে ঘোরতে থাকে । আমার ছাত্রী কিরগিস্থানে গিয়ে চাপ দিতে থাকে । নানা অজুহাতে সময় পার করতে থাকে । 

আমি বাংলাদেশে  মাশরিকার মা  এর নম্বারে যোগাযোগ করে কোন লাভ হয় নাই বরং আমাকে ব্লাকলিষ্ট করে  রাখে। বর্তমানে বিভিন্ন চার্জের কথা প্রথমে 30 ডলার কেটে টাকা ফেরত দিবে বলে, পরে 59 ডলার চার্জ  কাটার কথা বলে । আমার ছাত্রী বাকি টাকা নিতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে কোন টাকা ফেরত দেবে না জানায়।  বাংলাদেশী ছাত্র কমিটির সাথে কথা বলার পর চার্জ  বাবদ 100 ডলার কেটে নেওয়া  কথা জানায় নাম মাত্র টাকা  ফেরত দিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমার মোবাইল নং ব্লক করে রখে।

এ ব্যবসা চলতে থাকে নতুন কাষ্টমারের খোজ। এই বাংলাতে কোন প্রতারক বেড়ে না উঠুক এটাই  কাম্য।




























 

Post a Comment

0 Comments